ব্যাসিক জিওমেট্রি প্রব্লেম সলভিং

প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের সিনট্যাক্স শেখার পর একজন প্রোগ্রামারের প্রধান দায়িত্ব সেই সিনট্যাক্স দিয়ে নানা সমস্যার সমাধার করা । মূলত প্রোগ্রামিং বা কম্পিউটার সায়েন্সের ফিলোসপি হলো – প্রব্লেম সলভিং।

by Rabiul Awal on May 31, 2015

প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের সিনট্যাক্স শেখার পর একজন প্রোগ্রামারের প্রধান দায়িত্ব সেই সিনট্যাক্স দিয়ে নানা সমস্যার সমাধার করা। মূলত প্রোগ্রামিং বা কম্পিউটার সায়েন্সের ফিলোসপি হলো – প্রব্লেম সলভিং। আমাদের চারপাশে নানান রকম সমস্যাকে কম্পিউটারের মাধ্যমে বা সফটওয়্যারের সল্যুশন দিতে পারাটাই একজন প্রোগ্রামারের মূল কাজ। সিনট্যাক্স বা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এক্ষেত্রে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে না। ইম্পর্ট্যান্ট টার্ম হলো – ইমপ্লিমেন্টেশন। তোমার চিন্তাভাবনাগুলোকে (যেগুলো আসলে নানান সমস্যার সমাধান) সেগুলোকে কোডিং করে ইমপ্লিমেন্ট করতে পারাটাই প্রোগ্রামার হিসেবে তোমার বাহাদুরগিরি প্রকাশ করে। কপি-পেস্টিং কনসেপ্টে তুমি অনেক কিছুই তৈরী করতে পারে, কিন্তু এতে তোমার মৌলিকতা প্রকাশ পায় না।

বড় ধরণের সমস্যা সমাধান করতে গেলে ছোট ছোট সমস্যার সমাধান করে আসা উচিত। খুবই সিম্পল গাণিতিক সমস্যা, ফিজিক্সের সাধারণ কিছু সুত্র নিয়ে কাজ করলে তোমার চিন্তার পরিসর বড় হবে। যেমন, দুটো সংখ্যার যোগ, একটি সংখ্যার ডেসিম্যাল টু বাইনারি কনভার্শন, একটা স্ট্রিংকে কিভাবে রিভার্স করা যায়, ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের প্রোগ্রাম এরকম অজস্র প্রোগ্রাম লিখতে লিখতে তুমি একদিন বড় বড় সমস্যার সমাধান দিতে শিখবে। মাথায় রাখা উচিত, প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ কখনোই গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়, গুরুট্বপূর্ণ জিনিস হলো লজিক, ইমপ্লিমেন্টিং এপ্রোচ, থিংকিং এসব।

এই পর্বে যারা একদম নতুন কোডার তাদের জন্য কিছু জ্যামিতিক সমস্যার লিঙ্ক দিয়ে দিলাম। তোমরা এসব সমস্যাগুলোর ফর্মুলা অনেক আগে থেকেই জানো । ফর্মুলা দিয়ে এসব প্রোগ্রাম লিখে ফেলা একদম সহজ। দুয়েকটা প্রোগ্রাম দেখার পর তোমরা নিজেরাই বুঝতে পারবে মূলত কিভাবে কোড লিখতে হয়। তোমাদের এখানে ভালোভাবে লক্ষ করার বিষয় হল – নানান রকমের ভ্যালু ইনপুট নেয়ার জন্য কি ডাটা টাইপ তুমি ডিক্লেয়ার করছো। একইসাথে যেসব মান নিয়ে তুমি কাজ করছো সেগুলো যদি ফ্লোটিং পয়েন্ট হয় তাহলে দশমিকের দু ঘর বা তিন ঘর পর কিভাবে মান দেখাতে হয়।

এবার, তোমরা কোড করতে শুরু করো তাহলে। দুয়েকটা কোড দেখার পর চেষ্টা করবে নিজেরা কোড করতে, ফর্মুলা জানা না থাকলে গুগল করো এবং একটা নোট থাকায় ফর্মুলাগুলো টুকে রাখো, পরে কাজে দিবে। নিজে কোডিং করার পর দেখো সঠিক মান আসছে কিনা, না পারলে লিঙ্কে চেক করো তোমার কোথায় ভুল হচ্ছে।